বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে রক্তমাখা লাল কাফনের প্রতীকী লাশ নিয়ে ‘হত্যাকাণ্ডের কাফন ঘেরাও’ কর্মসূচি পালন করে তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকের সামনে রক্তমাখা লাল রঙের কাফনে প্রতীকী লাশ শুয়ে রাখা হয়েছে। রশি দিয়ে পথ আংশিকভাবে বন্ধ করে সেখানে প্রতিবাদী কাগজ টানানো হয়। কাগজে লেখা—‘সাজিদ হত্যার দায় মাথায় নিয়ে প্রশাসনিক ভবন চালাচ্ছি’। কাফনের পাশে লাল রঙে রক্তের দাগ টেনে ‘লাশ’ লেখা এবং পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রতীকী রক্তের দাগ।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, রক্তমাখা কাফন টপকিয়ে অফিসে যেতে হবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। এ হত্যার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যার বিচার চেয়ে আমরা ক্লান্ত নই, আমাদের চোখে এখনও ক্লান্তি আসেনি। রাষ্ট্রের কাছে, প্রশাসনের কাছে এই দাবিই জানাতে আমরা আজ আবার দাঁড়িয়েছি। প্রশাসন যদি বিচার করতে না পারে তাহলে শিক্ষার্থীদের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করুক। শিক্ষার্থীরা খুঁজে বের করবে খুনিকে।

 তারা জানান, বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অন্য কোনো তদন্ত সংস্থাও হস্তান্তর করার জন্য দাবি ওঠে। পরে আগামী শনিবারের কর্মসূচি দিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ৩ আগস্ট ভিসেরা রিপোর্টে জানা যায়, তার মৃত্যু শ্বাসরোধে হয়েছে। ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে নিরাপদ ক্যাম্পাস ও সাজিদের হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।