মুক্তিযুদ্ধ কোনো ব্যক্তিগত ব্যাখ্যার বিষয় নয়ঃ চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্য প্রত্যাহার দাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের
- Author, চবি প্রতিনিধি
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
-
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরীর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ অবস্থান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত রবিবার (১৪ আগস্ট) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খানের দেওয়া মন্তব্য ও পরবর্তী কর্মকাণ্ডে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত করার নজির দেখা গেছে। এ ঘটনায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের অস্তিত্ব, আত্মপরিচয় ও স্বাধীনতার ভিত্তি। এ ইতিহাসকে খাটো করা, বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দেওয়া কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিকৃতি ঘটানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, বিশেষ করে যখন তা আসে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির কাছ থেকে। ফোরামের দাবি, পরবর্তীতে দেশপ্রেমিক ছাত্রসংগঠনগুলোর আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়সারা ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে এবং ১০১ জন শিক্ষকের বিবৃতি প্রচার করে ঘটনাটিকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে তারা মনে করে।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম জানায়, মুক্তিযুদ্ধ কোনো ব্যক্তিগত ব্যাখ্যার বিষয় নয়, এটি জাতির সর্বসম্মত ইতিহাস। একে বিকৃত করার যেকোনো চেষ্টা জাতির চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার শামিল। এ অবস্থায় তারা উপ-উপাচার্যের বক্তব্য প্রকাশ্যে ও নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার, ইতিহাস বিকৃতির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যতে এমন দায়িত্বহীন বক্তব্য থেকে বিরত থাকার স্পষ্ট অঙ্গীকার দাবি করেছে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ কোনো ব্যক্তিগত মতামতের বিষয় নয়। এটি জাতির সর্বসম্মত ইতিহাস। এ ইতিহাস বিকৃতির যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম সবসময় সোচ্চার থাকবে।
এর আগে, ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ ট্যাগিংয়ের রাজনীতির নিন্দা জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ জন শিক্ষক পৃথক একটি বিবৃতি দেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।