জাবিতে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে জুনিয়রকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

জাবিতে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে জুনিয়রকে হত্যার হুমকির অভিযোগ
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

নারী শিক্ষার্থীকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ এবং জুনিয়র শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি)ইমাম হোসেনের বিরূদ্ধে । অভিযুক্ত ইমাম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সভাপতি।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীনের মুক্তমঞ্চ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে ।

জানা যায়, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং ক্লাবের আয়োজনে ‘ফিন্যান্স ফেস্ট’-এর সমাপনী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী স্নিগ্ধ পুরবি। এ সময় একাধিক শিক্ষার্থীর নাম ভুল ও বিকৃতভাবে ঘোষণা করা হয়েছে ,এমন অভিযোগ ওঠে আসে।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সম্মাননা পাওয়ার কথা থাকলেও তাদের মঞ্চে ডেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়নি। এ বিষয়টি জানতে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।


একপর্যায়ে ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রওনাক জাহান তানিশার সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়ান ইমাম হোসেন। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় তিনি সেখানে উপস্থিত নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে ইমাম হোসেন ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাসিমুল ইকবাল হোসেনকে অনুষ্ঠান শেষে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ‘ইভেন্ট শেষে তোকে মেরে ফেলবো’—এমন বক্তব্যের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পুরো অনুষ্ঠানজুড়েই একাধিকবার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তানজিন নুশরাত মুনা বলেন, “ইমাম হোসেন আমাদের হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং অনুষ্ঠান শেষে দেখে নেওয়ার কথা বলেছেন। তার এমন আচরণে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে আমরা প্রক্টর স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। দ্রুত আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দোষীর বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।”

এবিষয়ে অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে একাধিকবার ফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি ।


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ. কে. এম. রাশিদুল আলম বলেন, “আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। আজ বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি ছুটিতে থাকায় আগামী কার্যদিবসে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
 

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ