কম্বোডীয় বাহিনীকে সরাতে সামরিক অভিযান শুরু করল থাইল্যান্ড
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলে নতুন করে তীব্র সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর থাইল্যান্ড নিজেদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করা কম্বোডীয় বাহিনীকে সরিয়ে দিচ্ছে। এই সংঘর্ষের ফলে গত জুলাই মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙে গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ড এই সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতরাতে চলা সংঘর্ষে তাদের দুইজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এতে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে কম্বোডিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, দুই পক্ষের সংঘাতে একজন থাই সেনাও নিহত হয়েছেন।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত সোমবার রাতে থাইল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন যে থাইল্যান্ড যেন নিজেদের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের অজুহাতে বেসামরিক গ্রামগুলোর ওপর সামরিক শক্তি প্রয়োগ না করে।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ের সংঘাতে কম্বোডিয়ার কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত এবং ৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, থাই উপকূলীয় প্রদেশ ত্রাতের ভেতর কম্বোডীয় বাহিনীর উপস্থিতি দেখা গেছে। তাদের সরিয়ে দিতে সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে।
তবে নৌবাহিনী এ বিষয়ে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি।
থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী আরও বলেছে, কম্বোডীয় বাহিনী সীমান্ত এলাকায় তাদের উপস্থিতি বিপজ্জনকভাবে বাড়াচ্ছে। তারা স্নাইপার ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করছে, বাংকার শক্তিশালী করছে এবং নতুন পরিখা খনন করছে। নৌবাহিনী এই কর্মকাণ্ডগুলোকে থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি ও গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখছে।
আবার সংঘর্ষের জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করছে। এর আগে কম্বোডিয়া দাবি করেছিল, তাদের নিজেদের বাহিনী টানা হামলার শিকার হলেও পাল্টা হামলা চালায়নি।
প্রসঙ্গগত, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থলসীমান্ত রয়েছে। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এই দুই দেশের মধ্যে সীমানার অনির্ধারিত অংশগুলোর সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিরোধ চলছে।
গত মে মাসে সংঘর্ষে এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়, যার ফলশ্রুতিতে সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করা হয় এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।