কানাডা বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ২৭২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিল

কানাডা বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ২৭২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিল
ছবির ক্যাপশান, ছবি সংগৃহীত
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

কানাডা বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন করে ২৭২.১ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। গতকাল রোববার দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হুসেন এই অর্থায়নের ঘোষণা দেন। এই তহবিল বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হবে, যার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং দারিদ্র্য হ্রাসের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এক বিবৃতিতে আহমেদ হুসেন বলেন, "বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে কানাডার দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে আমরা এই সহায়তা প্রদান করছি। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।"  

এই সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমে কানাডা লিঙ্গ সমতা, নারী ও কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বাড়ানো এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা জোরদার করাও এই প্রকল্পগুলোর অন্যতম উদ্দেশ্য।  

কানাডার সরকার জানিয়েছে, ‘নার্সিং খাতে নারীর ক্ষমতায়ন’ নামে একটি প্রকল্পের জন্য তিন বছরে ৬৩ লাখ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কানাডীয় প্রতিষ্ঠান কোওয়াটার ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।  

এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এল, যখন কানাডার লিবারেল সরকার বসন্তকালে নতুন নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচনের ডাক দিতে পারে। উল্লেখ্য, কানাডায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বর্তমানে এক লাখের বেশি।  

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কানাডার ফেডারেল লিবারেল সরকার বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে বৈদেশিক সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দেয়। ট্রাম্প প্রশাসন বৈদেশিক সহায়তাকে মার্কিন করদাতাদের অর্থের অপচয় হিসেবে বিবেচনা করে, যা সমালোচকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবস্থানকে দুর্বল করে।  

কানাডার এই উদ্যোগ বৈশ্বিক উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ