থাইল্যান্ডে আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে চলা ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। আকস্মিক বন্যা ও লাগাতার বর্ষণে সাতটি প্রদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে বুধবার (২৬ নভেম্বর) দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। দেশটির সরকারি মুখপাত্র সিরিপং আংকাসাকুলকিয়াত সাংবাদিকদের জানান, নিহতদের বেশিরভাগই পানির স্রোতে ডুবে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। দুর্যোগের কারণে বহু এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে রাস্তাঘাট ও জনপদ তলিয়ে গেছে, বিশেষ করে পর্যটননগরী হাত ইয়াইয়ে কোমরসমান পানি জমে শত শত মানুষ ঘরবাড়ি ও হোটেলে আটকা পড়েছেন। বার্তাসংস্থা এএফপি–র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবীরা যৌথভাবে কাজ করছে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতির অবনতি বিবেচনায় থাই সরকার সঙখলা প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহ জুড়ে আরও ভারী বর্ষণ এবং আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ পূর্বাভাসের ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে এবং জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহের শেষ দিকে শুরু হওয়া অতি বর্ষণে হাত ইয়াইসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সঙখলা প্রদেশের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে এ পর্যন্ত ১২০০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে থাইল্যান্ডে অস্বাভাবিক বর্ষণ ও চরম আবহাওয়া বেড়েছে, যা বন্যা পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত ও জটিল করে তুলছে। সাধারণত দেশটিতে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকাল থাকে; তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ধরণে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, যা দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।