ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিমান চলাচল শুরু

ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিমান চলাচল শুরু
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচলের ঘোষণা দিলেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার ইকবাল হোসেন খান।

আজ বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) পাক সংবাদ মাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, লাহোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এলসিসিআই) বক্তব্য রাখার সময় ইকবাল হোসেন খান বলেন, আগামী মাস (ডিসেম্বর) থেকে ইরানভিত্তিক বিমান সংস্থা ‘মহান এয়ার’ করাচি ও ঢাকার মধ্যে সপ্তাহে তিনটি সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে। এই উদ্যোগ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

হাই কমিশনার আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণের সুবিধার্থে ভিসা প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করা হয়েছে। এলসিসিআই এবং লাহোরে অবস্থিত বাংলাদেশ অনারারি কনস্যুলেটের যৌথ সুপারিশের ভিত্তিতে এখন থেকে ব্যবসায়ীরা মাত্র তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ভিসা পাবেন, যা দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকে আরও দ্রুত ও সহজ করবে।


বাণিজ্যের সম্ভাবনা তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশে চাল রপ্তানি করতে পারে, অন্যদিকে বাংলাদেশ তাজা আনারস সরবরাহ করতে পারে। পাশাপাশি টেক্সটাইল এবং তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতেও উভয় দেশের মধ্যে বিরাট বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে একটি সরাসরি কার্গো শিপিং সার্ভিসও চালু করা হবে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্গো পরিষেবা চালু থাকলেও, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের চাহিদার কারণে এখন সরাসরি ডেডিকেটেড রুটের প্রয়োজন হয়েছে।

সভায় এলসিসিআই সভাপতি ফাহিমুর রেহমান সাইগল জানান, বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।


বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছাড়াও শিক্ষা খাতে সহযোগিতার ওপর জোর দেন হাই কমিশনার। তিনি জানান, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষা কমিশন (এইচইসি) শীঘ্রই ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে পাঠাবে।

তিনি দুই দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও মূল্যবোধের মিল তুলে ধরে পাকিস্তানের পর্যটন খাতের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে 'ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত একটি সম্প্রদায়' হিসেবে আখ্যা দেন।

সভায় এলসিসিআই সভাপতি সাইগল বলেন, পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তানের শেখার সুযোগ রয়েছে। আইটি, অটোমোবাইল ও অন্যান্য শিল্পেও দুই দেশের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার সুযোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
হাইকমিশনারের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সাইগল জানান, শীঘ্রই এলসিসিআই-এর একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবে।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ