সোমবার (২৪ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আলোচনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয় যে, দুই নেতা একটি 'উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ)' নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন। এই চুক্তির লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি তার এক্স (সাবেক টুইটার) এর এক পোস্টে বাণিজ্যের এই সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই চুক্তি তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ৭০ বিলিয়ন কানাডীয় ডলারেরও বেশি করতে পারে।
তিনি ভারতের সঙ্গে এই চুক্তিকে কানাডার শ্রমিক ও ব্যবসার জন্য 'বড় নতুন সুযোগ' হিসেবে উল্লেখ করেন।

বাণিজ্যিক আলোচনা পুনরায় শুরুর পাশাপাশি দুই দেশ বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা জোরদার এবং দীর্ঘমেয়াদি ইউরেনিয়াম সরবরাহসহ সম্ভাব্য সহযোগিতা প্রসারে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে।

উল্লেখ্য, দুই বছর আগে কানাডায় একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগের (যা ভারত অস্বীকার করে) জেরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই উত্তেজনার কারণেই কানাডা পূর্বে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছিল।
কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির ফলে, ২০২৪ সালে দুই দেশের পণ্য ও সেবাখাতের বাণিজ্য প্রায় ৩১ বিলিয়ন কানাডীয় ডলারে যায়, যা ভারতের অর্থনীতির আকারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম।