আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এই দিন ধার্য করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রবিবার মামলাটির আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য ছিল। ১৭ জন আসামির মধ্যে একমাত্র খুরশীদ আলম আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করে। তবে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অপর ১৬ আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেনি।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শেখ রেহানা ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়। এই অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি দুদক-এর উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। প্রাথমিক মামলায় টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার তদন্ত শেষে, গত ১০ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা, দুদক-এর সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, আরও দুই আসামিকে যুক্ত করে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

এই মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউক-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এই মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।