এনবিআর এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী কোম্পানি ছাড়া অন্যান্য শ্রেণির করদাতার জন্য রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর নির্ধারিত ছিল তবে করদাতাদের পক্ষ থেকে সময় বৃদ্ধির অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এনবিআর-এর ওয়েবসাইট www.etaxnbr.gov.bd এর মাধ্যমে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এই অনলাইন কার্যক্রম করদাতাদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে ২০২৫-২৬ কর বছরে ১০ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সম্পন্ন করেছেন।

এ বছর এনবিআর সকল ব্যক্তিগত করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। তবে বিশেষ শ্রেণির করদাতারা এই বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তারা হলেন- ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক। তবে অব্যাহতিপ্রাপ্ত করদাতারাও স্বেচ্ছায় অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন।


এছাড়া এবার বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতাদের জন্য ই-রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া আরও সহজ করেছে এনবিআর। তারা পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা উল্লেখ করে ereturn@etaxnbr.gov.bd ঠিকানায় আবেদন করলে তাদের ই-মেইলে ওটিপি (OTP) ও রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হচ্ছে।
এনবিআর জানিয়েছে, ই-রিটার্ন সিস্টেমে করদাতাদের কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে হয় না। কেবল আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য প্রদানের মাধ্যমেই তাৎক্ষণিকভাবে Acknowledgement Slip এবং আয়কর সনদ প্রিন্ট করা সম্ভব হচ্ছে। এই সহজ পদক্ষেপের জন্য দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত করদাতাদের মধ্যে ই-রিটার্ন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

আবার ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধানে এনবিআর একটি ডেডিকেটেড কল সেন্টার (০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১) চালু করেছে, যেখানে করদাতারা তাৎক্ষণিক টেলিফোনিক সহায়তা পাচ্ছেন।
পাশাপাশি, www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটের eTax Service অপশন এবং দেশের প্রতিটি কর অঞ্চলে স্থাপিত ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক থেকেও সরাসরি সেবা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।