প্রত্যাহার হওয়া সদস্যরা হলেন: রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু শাহাদাত, কনস্টেবল আব্দুস সবুর, মাহফুজার রহমান ও মিঠু সরদার। জানা গেছে, ঘটনার পরদিন হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন হত্যা মামলার আসামি লিমন মিয়ার ভিডিও বয়ান রেকর্ড করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। অভিযোগ ওঠে, হাসপাতালের পাহারায় থাকা পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনে গুরুতর অবহেলা ছিল।

এ ঘটনায় আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে শোকজ করে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেছেন আদালত। কমিশনারকে তলবের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশের ভেতরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পুলিশ জানায়, হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকায় এবং আসামির ভিডিও বয়ান ফাঁস হওয়ায় চার সদস্যের বিরুদ্ধে প্রাথমিক পর্যায়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বরখাস্তকৃতদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শুরু হয়েছে। বিভাগীয় মামলার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে আরএমপি। অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলা তদন্তে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সমগ্র শহরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি ও দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি। আদালতও এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কঠোর নজরদারির অবস্থান গ্রহণ করেছে।