যে কারণে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘস্থায়ী শাটডাউন বা সরকারি কার্যক্রমের অচলাবস্থা শীঘ্রই সমাধান হওয়ার সম্ভাবনার মধ্যে বৈশ্বিক তেলবাজারে জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হলে ভোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি তেলের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে বিমান চলাচল ও অন্যান্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮ সেন্ট কমে ৬৫ দশমিক ০৮ ডলারে নেমেছে। একই দিনে মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম কমে ৬০ দশমিক ৯৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গতকাল তেলের দাম ১.৫ থেকে ১.৭ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে বুধবার একটি বিল নিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে, যা সরকারের সংস্থাগুলোর অর্থায়ন ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত পুনরায় চালু করবে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, শাটডাউন শেষ হলে ভ্রমণ ও জেট জ্বালানি চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক তেলবাজারে সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য প্রভাবিত হবে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রধান দুই তেল কোম্পানি লুকঅয়েল ও রসনেফটের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সরবরাহে প্রভাব ফেলছে। এতে তেলের দাম বাড়ার দিকে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া চীনের ইয়ানচাং পেট্রোলিয়াম রুশ তেল ব্যবহার বন্ধ করে নতুন সরবরাহ খুঁজছে। সিনোপেকের একটি শাখাও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে।
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাশিয়ার ওপর আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা ছিল প্রথম সরাসরি পদক্ষেপ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার প্রভাব আন্তর্জাতিক তেলবাজারে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।