পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের উদাসীনতায় নিউইয়র্কের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে পারলেন না ফাতিহা আয়াত

পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের উদাসীনতায় নিউইয়র্কের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে পারলেন না ফাতিহা আয়াত
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

বাংলাদেশের তরুণ জলবায়ু কর্মী ফাতিহা আয়াত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের উদাসীনতার কারণে তিনি এবারের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে পারেননি।


তিনি লিখেছেন,
“যোগ্যতা ও ইচ্ছা থাকলেও কেন বাংলাদেশের জন্য অনেকেই অনেক কিছু করতে পারে না, তা এখন আমার থেকে ভালো খুব অল্প লোকেই জানে। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি কি তবে অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি করছি?”

ফাতিহা আয়াত জানান, “আজ থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন। নিউইয়র্ক থাকতে জাতিসংঘের এরকম আয়োজনে বক্তৃতা রেখেছি মোট সাতবার। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেই সব সম্মেলনে একবারও আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করিনি। প্রতিবারই বাংলাদেশের সাসটেইনেবল অ্যাডাপ্টেশন ও ক্লাইমেট মিটিগেশন নিয়ে কথা বলেছি।”

তিনি আরও বলেন, “যৌথ নদীগুলো থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্য পানির ন্যায্য হিস্যা চেয়ে ভারতীয় ডেলিগেটদের লাঞ্ছনা ও গঞ্জনার শিকার হয়েছি সেটাও আপনারা দেখেছেন। না দেখলে সেই অপমান ও অপদস্থ হওয়ার ভিডিও এখনো দেখে নিতে পারেন ফেসবুক বা ইউটিউবে।”

ফাতিহা জানান, “গত বছর আমি দেশে আসার পর থেকে এটা দ্বিতীয় ক্লাইমেট কনফারেন্স। দুইবারই আমাদের পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ম্যামের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছি। বলেছিলাম কিয়োটো প্রটোকল, বালি এন্ডোর্সমেন্ট, কোপেনহেগেন অ্যাকর্ড, প্যারিস অ্যাগ্রিমেন্ট আর গ্লাসগো প্যাক্টের উপর আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে Green Climate Fund এর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল থেকে বাংলাদেশের জন্য জরুরী ভিত্তিতে অর্থ ছাড় করানোর জন্য আমি ভয়েস রেইজ করতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “এছাড়া UN Sustainable Development Solutions Network এর কাছে নদী ভাঙন, নাব্যতা হ্রাস, মৌসুমি প্লাবন, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, ভূমি ধ্বস, অতিরিক্ত পলিপ্রবাহসহ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির লবণাক্ততা কমানোর জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রকৌশলগত সমাধান চাইব বলেছিলাম।”

ফাতিহা লেখেন, “আপনারা তো জানেনই বৈশ্বিক এই ফোরামগুলোতে ইয়ুথ ভয়েসকে কতটা প্রাধান্য দেওয়া হয়। তার হোয়াটসঅ্যাপে আমি বহুবার নক করেছি। তিনি রিপ্লাই দেন ‘Noted’। ১০ মিনিটের একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছি, তিনি রিপ্লাই দেন ‘Wish I had that 10 minutes’। এমনকি এও বলেছি, আমি নিজ খরচেই যাব আসব, সরকারি কোনো ফান্ডিং লাগবে না। কিন্তু ম্যাম আমাকে পাত্তাই দেননি।”

তিনি আরও লেখেন, “বাংলাদেশ নিয়ে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে কথা বলার অনেক সুযোগ আমেরিকা থেকে পেয়েছি। ভেবেছিলাম দেশে আসার পর সেটা আরও বাড়বে। বাস্তবতা পুরোই উল্টো। আফসোস!!”

— ফাতিহা আয়াত

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ