শেয়ার বিক্রিতে বিনিয়োগকারীদের সময় দিল বিএসইসি
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর সম্প্রতি জারি করা নতুন মার্জিন ঋণ বিধিমালা গেজেট এর মাধ্যমে ঋণ সংক্রান্ত কার্যকারিতা শিথিল করা হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ঋণ সমন্বয় করতে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বাড়তি সময় পাচ্ছেন। বিনিয়োগকারীদের নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহনীয় সময় দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
নতুন বিধিমালায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনটি হলো— যেসব শেয়ার ঋণযোগ্য (নন-মার্জিন) নয়, সেগুলোর ঋণ সমন্বয়ের জন্য বিনিয়োগকারীরা এখন এক বছর পর্যন্ত সময় পাবেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই সময়সীমা বৃদ্ধি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
এ বিষয়ে বিএসইসি জানিয়েছে, নতুন বিধিমালা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে মার্জিন ঋণে ঝুঁকি কমে আসে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়। নতুন নিয়মের ফলে বাজারে ঢালাও ঋণ বিতরণও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও ঋণ বিতরণে শৃঙ্খলা আনতে নতুন বিধিমালায় বেশ কিছু কঠোরতা আনা হয়েছে। যেমন-
ন্যূনতম বিনিয়োগ সীমাঃ এখন থেকে পাঁচ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে কোনো ব্যক্তি মার্জিন ঋণ বা শেয়ার কেনার জন্য ঋণ সুবিধা পাবে না।
পুরোনো ঋণ সমন্বয়ঃ যারা বিধিমালার আগে ঋণ নিয়েছেন এবং তাদের বিনিয়োগ পাঁচ লাখ টাকার কম, তাদের এক বছরের মধ্যে বিনিয়োগ বাড়িয়ে পাঁচ লাখে উন্নীত করতে হবে।
ঋণের সর্বোচ্চ হারঃ যাদের নিজস্ব বিনিয়োগ ১০ লাখ টাকার কম, তারা নিজস্ব বিনিয়োগের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ হিসেবে নিতে পারবেন।
'ফোর্স সেল' নিয়মে পরিবর্তনঃ নতুন বিধান অনুযায়ী, ঋণগ্রহীতার পোর্টফোলিওতে নিজস্ব বিনিয়োগ মূল্য ৫০ শতাংশে নেমে এলেই কেবল 'ফোর্স সেল' বা বাধ্যতামূলক শেয়ার বিক্রি করা হবে। আগের নিয়মে ৭৫ শতাংশে নামলেই 'মার্জিন কল' করা হতো। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান চাইলে শেয়ার বিক্রি করে ঋণ অনুপাত বজায় রাখতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই নতুন বিধিমালায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে অস্বস্তি ছিল, তা কেটে যাবে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি আস্থা বাড়বে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।