ডিজিটাল শাটডাউনের হুমকি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
দেশে ইন্টারনেট খাতে সম্ভাব্য সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নতুন খসড়া গাইডলাইন নিয়ে। প্রস্তাবিত টেলিকম পলিসি সংশোধনের দাবিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন হাজারেরও বেশি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপিএবি) ব্যবসায়ী। সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর ইস্কাটনের বিটিআরসি ভবনের সামনে সারা দেশ থেকে আসা দেড় হাজারেরও বেশি আইএসপি উদ্যোক্তা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি মো. আমিনুল হাকিম জানান, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে অন্যায্যভাবে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যা ইন্টারনেটের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে। এতে গ্রাহক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল ব্যবসা খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। আমিনুল হাকিম বলেন, “নতুন নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে ৫০০ টাকার সংযোগের খরচ ১০০ টাকা এবং ১,০০০ টাকার সংযোগের খরচ প্রায় ২০০ টাকা বাড়বে। ফলে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই দেশ ডিজিটালি শাটডাউন হয়ে যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, নতুন গাইডলাইনে রেভিনিউ শেয়ারিং, উচ্চ লাইসেন্স ফি এবং সোশ্যাল অবলিগেশন ফান্ড (এসওএফ) আরোপের ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা টিকতে পারবে না। আইএসপিএবি পক্ষ থেকে সাত দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে, সিএমএসপি গাইডলাইন থেকে ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউএ) সেবার অনুমতি বাতিল, ফাইবার কানেক্টিভিটি ডেপ্লয়মেন্টের সীমাবদ্ধতা আরোপ, ওয়াইফাই ব্যান্ডের বাণিজ্যিক ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ, রেভিনিউ শেয়ারিং ও এসওএফ চার্জ পুনর্বিবেচনা, এবং জেলা ও জাতীয় লাইসেন্সধারীদের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ।
আইএসপিএবি সভাপতি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে টেলিকম নীতিমালার সংশোধনে হস্তক্ষেপ করতে, যাতে ইন্টারনেট সেবা সাশ্রয়ী ও সবার জন্য সহজলভ্য রাখা যায়।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।