ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হলেও এখনো অমিমাংসিত ‘জুলাই সনদ’
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
শেষ হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ। তবে বহুল আলোচিত জুলাই সনদকে ঘিরে এখনো জটিলতা কাটেনি। এখনো অমিমাংসিত রয়ে গেছে ‘জুলাই সনদ’। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত হয় সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গঠন। গঠনের পরপরই কমিশন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও অন্যান্য দল সংস্কার বিষয়ে তাদের মতামত কমিশনের কাছে উপস্থাপন করে।
আলোচনা ও মতবিনিময়ের ভিত্তিতে কমিশন প্রস্তুত করে বহুল প্রত্যাশিত ‘জুলাই সনদ’। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গত ১৭ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতসহ ২৫টি দল সনদে স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সনদের সুপারিশসমূহ প্রধান উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। তবে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, গণভোটের সময় এবং “নোট অব ডিসেন্ট” রাখা হবে কি না, এসব বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক দেখা দেয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জুলাই সনদ জাতীয় ঐকমত্যের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও এর বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। নির্বাচনপূর্ব গণভোটের প্রস্তাব ও বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে দলগুলোর বিভক্ত অবস্থান রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কমিশনের মেয়াদ শেষ হলেও এর সুপারিশ অনুযায়ী সরকার চাইলে এখনও সংকট নিরসনের সুযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ শাহান বলেন, “গণভোটসহ কমিশনের অন্যান্য প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকার যদি আন্তরিক উদ্যোগ নেয়, তবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পথ খুলে যেতে পারে।” এখন দেশবাসী অপেক্ষা করছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।