স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, দিদারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে শারীরিকভাবে তিনি দুর্বল এবং কিছুটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন।

দিদারের চাচাতো ভাই হাসান সাংবাদিকদের জানান, গন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জেরে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের একটি পক্ষ দিদারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল বলে দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউনিয়নের নেতৃত্ব নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই দলীয় কোন্দল বা পূর্বশত্রুতার জেরেই এ হামলা হতে পারে।

ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা আলোচনা চলছে।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং হামলার কারণ বা জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলে তিনি জানান।