এর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আরমানিটোলায় টিউশনিতে গিয়ে খুন হন জুবায়েদ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং একই সঙ্গে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ‘রওশন ভিলা’ নামের বাড়ির সিঁড়ি থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দুজন তরুণকে পালিয়ে যেতে দেখা গেলেও তাদের মুখ স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা যায়নি।

বংশাল থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে ওই বাড়ির ছাত্রী বর্ষা, তার প্রাক্তন প্রেমিক মাহির রহমানসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বর্ষা ও মাহিরের মধ্যে দীর্ঘ নয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক সম্প্রতি ভেঙে যায়। এ নিয়েই তাদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। রোববার বিকেলে বর্ষার বাসায় টিউশনিতে যাওয়ার পথে জুবায়েদের সঙ্গে মাহিরের দেখা হয় এবং কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে জুবায়েদ ছুরিকাঘাতে নিহত হন।

ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে জুবায়েদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পরে তার মরদেহ নিজ জেলা কুমিল্লায় নিয়ে দাফন করা হয়। জুবায়েদ ছিলেন কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালনরত। পুলিশ জানিয়েছে, আটক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ করা হবে।