ডাকসু, জাকসু, চাকসুর পর এবার শিবিরের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা রাবিতে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন, যা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। একই সঙ্গে হবে হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাকসু নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশন জানায়, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।
এবারের রাকসু নির্বাচনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের ক্ষেত্র হিসেবে। সম্প্রতি ডাকসু, জাকসু ও চাকসুর নির্বাচনে অপ্রতিরোধ্য সাফল্যের পর রাবিতে শিবিরের সাংগঠনিক শক্তি ও শিক্ষার্থীদের সমর্থন কতটা দৃঢ়, তা আজকের ভোটের ফলেই প্রতিফলিত হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
রাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে মোট ৯৯০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য। ভোট শেষে গণনা হবে রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে।
এবারের নির্বাচনে ১১টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যার মধ্যে ছাত্রদল ও শিবির-সমর্থিত প্যানেলও রয়েছে। ২৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন, এজিএস পদে ১৬ জন এবং অন্যান্য পদে ২০০ জন প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৮ জন।
রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন, যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। দীর্ঘ বিরতির পর আয়োজিত এই নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। শিবিরসহ সব প্যানেল আজ শিক্ষার্থীদের আস্থার পরীক্ষায় নামছে—যার ফলাফল নির্ধারণ করবে আগামী দিনের রাবি রাজনীতির গতিপথ।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।