নবীজির শেখানো গুনাহ থেকে মুক্তির সহজ পথ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
নবীজির শেখানো গুনাহ থেকে মুক্তির সহজ পথ জানুন। ইসলাম অনুসারে আন্তরিক তওবা, নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উপায় শিখুন। কুরআন ও হাদিসভিত্তিক তওবার নিয়ম, গুরুত্ব ও দোয়া সম্বলিত এই নির্দেশনা আত্মশুদ্ধি ও পাপমুক্ত জীবনের সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়।
মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি হিসেবে ভুল-ত্রুটি ও গুনাহে লিপ্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে এসব গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায় হলো আন্তরিক তওবা। ধর্মীয় আলোচনায় আলেমরা বলেন, তওবা মানে পাপ থেকে ফিরে এসে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা। কুরআন ও হাদিসে তওবার গুরুত্ব বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। সুরা তাহরিমের ৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা কর, খাঁটি তওবা।” আরেক আয়াতে (সুরা বাকারা: ২২২) বলা হয়েছে, “আল্লাহ তওবাকারী ও পবিত্রতাপ্রিয় ব্যক্তিদের ভালোবাসেন।”
তওবা করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলেমরা জানান, প্রথমেই বান্দাকে নিজের পাপ ও ভুল বুঝে আন্তরিক অনুতাপ প্রকাশ করতে হবে। এরপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে গুনাহের পুনরাবৃত্তি থেকে বিরত থাকার দৃঢ় সংকল্প নিতে হবে। কারও হক নষ্ট করে থাকলে তা ফিরিয়ে দিতে হবে বা ক্ষমা চাইতে হবে। অজু করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করাও উত্তম। নবীজি (সা.) বলেছেন, “আল্লাহ তাঁর বান্দার তওবা গ্রহণ করেন, যতক্ষণ না সে মৃত্যুযন্ত্রণায় গরগর করে।”
ধর্মবিশারদরা বলেন, তওবা কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়; জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই তা করা উচিত। নবীজি (সা.) নিজেও প্রতিদিন শতবার তওবা করতেন। তওবার বিশেষ দোয়া হিসেবে তিনি শিক্ষা দিয়েছেন-
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ... وَأَتُوبُ إِلَيْهِ,
অর্থাৎ “আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং তাঁর কাছেই তওবা করি।”
তওবা মানুষকে আত্মিক শান্তি দেয়, পাপমুক্ত জীবনের পথে ফিরিয়ে আনে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করে। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত প্রতিনিয়ত নিজের ভুল পর্যালোচনা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।