“মৃত্যুর পর কবরের তিন প্রশ্নের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতি”

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
মৃত্যুর পর কবরের তিন প্রশ্নের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ইসলামের মূলনীতি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর ওপর ইমান, নবী মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে জ্ঞান ও ইসলামের বিধান পালন করে মুসলিমরা কবরের শান্তি লাভ করতে পারে। প্রস্তুতি, তাওহিদ ও নৈতিক জীবন কবরের উত্তরণের জন্য অপরিহার্য।
ইসলাম ধর্মের মৌলিক শিক্ষা অনুযায়ী, মৃত্যুর পর কবরে প্রত্যেক মানুষকে তিনটি মৌলিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে ‘তোমার প্রতিপালক কে?’, ‘তোমার ধর্ম কী?’ এবং ‘তোমার নবী কে?’। ফেরেশতা মুনকার ও নাকিরের এই প্রশ্নগুলো মুসলিমদের ঈমানের পরীক্ষার মূল অংশ হিসেবে বিবেচিত। কোরআন-হাদিসের আলোকে এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারলেই মৃত ব্যক্তি কবরের শান্তি লাভ করে; আর ভুল উত্তরদাতা ভোগ করে কবরের কঠিন শাস্তি।
হাদিসে বর্ণিত আছে, বারা ইবনে আজিব (রা.)-এর সূত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মৃত্যুর পর ফেরেশতারা মৃত ব্যক্তিকে বসিয়ে এই তিন প্রশ্ন করেন। সঠিক উত্তরদাতা বলেন, “আমার প্রতিপালক আল্লাহ, আমার ধর্ম ইসলাম এবং আমার নবী মুহাম্মদ (সা.)।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৫৩)।
ইসলামের শিক্ষায় বলা হয়, এই তিন প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হওয়ার জন্য জীবিত অবস্থায় তিনটি মূলনীতি জানা ও মানা জরুরি। প্রথমত, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলাকে জানা ও চেনা; দ্বিতীয়ত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন, দাওয়াত ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানা; এবং তৃতীয়ত, ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিধান ও চেতনা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা।
কোরআনের আয়াতসমূহে আল্লাহর একত্ব, নবুওয়তের সত্যতা ও ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধর্মবিশারদদের মতে, এই তিন নীতির জ্ঞান ও চর্চাই কবরের প্রশ্নের উত্তরের প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মুসলমানদের উচিত প্রতিনিয়ত আত্মসমালোচনা করা, ঈমান শক্ত করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা “আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কবর” (হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই)।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।