ইসলামে কুকুর পালন: শর্তসাপেক্ষে জায়েজ, বিনা কারণে কুকুর রাখা হারাম

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইসলামে কুকুর পালন শর্তসাপেক্ষে জায়েজ হলেও বিনা কারণে কুকুর রাখা হারাম। নেত্রকোনা মুফতি সফিউল্লাহ জানিয়েছেন, শিকার, গবাদি পশু বা বাড়ি-ঘর রক্ষার জন্য কুকুর রাখা অনুমোদিত। কুকুর লালা নাপাক, কোলে নেওয়া ও অতিরিক্ত আদর করা জায়েজ নয়। ইসলামে প্রাণীর প্রতি সদ্ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামে কুকুর পালনকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদনযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন মুফতি সফিউল্লাহ, উস্তাযুল হাদিস, জামিয়া মিফতাহুল উলুম, নেত্রকোনা। তিনি বলেন, কুরআন ও হাদিসে কুকুরের উল্লেখ থাকলেও ইসলাম অনুযায়ী বিনা কারণে কুকুর পোষা হারাম। শুধুমাত্র শিকার, গবাদি পশু বা শস্যক্ষেতের পাহারা দেওয়া বা বাড়ি-ঘর রক্ষার জন্য কুকুর পালন করা জায়েজ।
মুফতি সফিউল্লাহ বলেন, হাদিসে আছে যে যে ব্যক্তি বিনা কারণে কুকুর পোষে, তার সওয়াব কমে যায়। তবে পাহারাদার কুকুর রাখলে ফেরেশতা প্রবেশে বাধা হয় না। তিনি আরও বলেন, কুকুরের লালা নাপাক এবং শরীরে লাগলে নামাজের আগে ধুয়ে ফেলা জরুরি। অযথা কুকুর কোলে নেওয়া বা অতিরিক্ত আদর করা জায়েজ নয়।
কুকুর হত্যার বিষয়েও মুফতি সফিউল্লাহ জানিয়েছেন, মানুষকে ক্ষতি করার জন্য বা পাগলা কুকুর হলে হত্যা করা জায়েজ। তবে বিনা কারণে হত্যা করা হারাম। তিনি দয়া ও সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণীর সঙ্গেও সওয়াব অর্জনের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, এক হাদিসে বলা হয়েছে, এক পতিতা নারী একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে ক্ষমা লাভ করেছিলেন।
মোটকথা, কুকুর আল্লাহর সৃষ্টি এবং ইসলামে কেবল প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী কুকুর পালন অনুমোদিত। শখের বসে পোষা, কোলে নেওয়া বা অতিরিক্ত স্নেহ প্রদর্শন ইসলামসম্মত নয়।
সূত্র: আল কুরআন: সুরা আনআম ৩৮, সুরা কাহাফ ১৮, ২২; সহিহ বুখারি: ৩২২৫, ৫০৮১, ৫৪৮২, ৩০৮০, ৩৩২১; সহিহ মুসলিম: ১৫৭৫, ২২৪৫, ৩৮৯; সুনানে ইবনে মাজাহ: ৯৫২, ৩৬৪৯, ৩০৮৯; ফতোয়ায়ে আলমগিরি ৪/২৪২; ফতোয়াতে মাহমুদিয়া ১৮/২৬৪
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।