'রাক্ষস' দেখলেন বিজ্ঞানীরা!মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে রাক্ষস কণার আবিষ্কার

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমন এক রহস্যময় কণার সন্ধান পেয়েছেন, যা অদৃশ্য হলেও মহাবিশ্বের নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করতে সক্ষম। এই কণাকে বলা হচ্ছে 'রাক্ষস কণা'যা ঈশ্বর কণার বিপরীত। ঈশ্বর কণা বা হিগস-বোসন যাদের মাধ্যমে কণাগুলোকে ভর (mass) জোগানো হয়, সেই কণার বিপরীত আচরণ সম্পন্ন এই নতুন কণার আবিষ্কার ডিজিটাল দুনিয়ার তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কোয়ান্টাম প্রযুক্তিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।
বিশ্বরহস্য ব্যাখ্যায় বিজ্ঞানীদের ঝুলিতে যে মূল সম্বল আছে, তা হলো 'স্ট্যান্ডার্ড মডেল'। এই তত্ত্বের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে হিগস-বোসন, বা কথায় কথায় ঈশ্বর কণা। যদি এই কণা না থাকতো, পুরো তত্ত্ব হুড়মুড়িয়ে ভেঙে যেত, যেন তাসের ঘরের কাঠামো। ১৩৭০ কোটি বছর আগে ব্রহ্মাণ্ডের জন্মের পর সমস্ত কণার মধ্যে অধিকাংশের কোনো ভর ছিল না। তাহলে কিভাবে পৃথিবীর বস্তু ও জীবের ভর সৃষ্টি হলো? সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ভাবনার সূত্র ধরে হিগস দাবি করেছেন এমন এক কণার অস্তিত্বের, যা কিছু কণাকে ভর জোগায়। এ কণার নাম হলো হিগস-বোসন, যা বিজ্ঞানী ভাষায় ঈশ্বর কণা বা God Particle নামে পরিচিত।
ঈশ্বর কণার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন জেনিভার সার্ন গবেষণাগারের লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (LHC)। মাটির নীচে অন্ধকার সুড়ঙ্গে প্রোটন কণার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটিয়ে দেখা হয়েছে, যেখানে সৃষ্টি হয় অতিপ্রচুর এনার্জি। এই সংঘর্ষ থেকে জন্ম নিয়েছে কোটি কোটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা। এই কণাগুলি মাত্র এক মুহূর্তের জন্য দৃশ্যমান থাকে; তারপর মিলিয়ে যায়। যা বিজ্ঞানীদের জানায়, ঈশ্বর কণার ভর ১৩৩টি প্রোটনের মোট ভরের সমান হতে পারে। সৃষ্টির উৎস এবং বস্তু, জীবের ভরের রহস্য উন্মোচনেও এদের বড় ভূমিকা আছে।
নতুন আবিষ্কৃত 'রাক্ষস কণা' হল হিগস-বোসনের বিপরীত আচরণ সম্পন্ন কণা। প্রতিটি মৌলিক কণার একটি অ্যান্টি-পার্টিকেল বা বিপরীত কণা থাকে, যেমন ইলেকট্রনের বিপরীত হলো পজিট্রন। এই কণাগুলি মহাবিশ্বের শক্তি, গঠন ও আচরণকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে। ডিজিটাল দুনিয়ায় এই কণাগুলি সম্ভাব্য প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বা অত্যাধুনিক তথ্য প্রক্রিয়াকরণে, রাক্ষস কণার বৈশিষ্ট্য তথ্য প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত, শক্তিশালী এবং কার্যকর করে তুলতে পারে।
বিজ্ঞানীরা এখনই এই কণার আচরণ, সংঘর্ষ এবং অদৃশ্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রাক্ষস কণার সাহায্যে ভবিষ্যতে এমন প্রযুক্তি সম্ভব, যা ডিজিটাল ও কোয়ান্টাম দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম। রাক্ষস ও ঈশ্বর কণার মধ্যে এই খেলা মহাবিশ্বকে বোঝার একটি নতুন চাবিকাঠি। যা শুধু পদার্থবিজ্ঞানের নীতি নয়, ডিজিটাল প্রযুক্তির ভবিষ্যতকেও উন্মোচন করতে পারে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।