থানায় যুবকের মৃত্যুতে সাবেক ওসিসহ ৯ জন আসামি

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
কক্সবাজারের চকরিয়া থানা হাজতে দুর্জয় চৌধুরী নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে মামলা দায়ের হয়েছে। মৃত্যুর ২২ দিন পর আদালতের নির্দেশে থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. মামুনুর রশীদ মামলাটি আমলে নিয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। নিহতের বাবা কমল চৌধুরী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের তথ্য ও সেবা কেন্দ্র সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- চকরিয়া থানার তৎকালীন ওসি শফিকুল ইসলাম, এএসআই মহিউদ্দীন, কনস্টেবল মহিউদ্দীন ও ইসরাক, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খানম, সহকারী শিক্ষক জসীম উদ্দিন ও মোস্তফা কামাল, অফিস সহায়ক পারভেজ এবং বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী নুর মোহাম্মদ। নিহত দুর্জয় চৌধুরী পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খানমের অভিযোগ, দুর্জয় বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। এ অভিযোগে ২১ আগস্ট রাতে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয় এবং রাতে জিডি করে হাজতে রাখা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে রাত ১টা ২৭ মিনিটে তাকে হাঁটাহাঁটি করতে দেখা গেলেও ভোর ৪টার দিকে থানার ভেতরে শার্ট পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।
নিহতের বাবা অভিযোগ করে বলেন, এটি আত্মহত্যা নয় বরং পরিকল্পিত হত্যা। বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও পুলিশ মিলে ষড়যন্ত্র করে তার ছেলেকে হত্যা করেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, থানায় এজাহার করার চেষ্টা করলেও পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম থাকায় মামলা নেয়নি। আদালতের দ্বারস্থ না হলে ন্যায়বিচারের সুযোগ পাওয়া যেত না। অন্যদিকে, সাবেক ওসি শফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, ঘটনার রাতে তিনি থানায় ছিলেন না এবং ভোরে ফিরে মরদেহ দেখতে পান।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।