পরিবারে সমতায় পিতৃত্বকালীন ছুটির গুরুত্ব নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার তিন শর্ত

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া যেতে পারে ৩ শর্তে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টাপিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তিনটি শর্তের কথা জানিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে জনবল সংকট এড়ানো, বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং নীতিমালায় সংযোজন, এই শর্ত পূরণে ছুটি বাস্তবায়ন সম্ভব। জানুন বাংলাদেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির প্রস্তাব, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার মতামত ও কর্মজীবী পরিবারের জন্য এর গুরুত্ব।
পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রদানের বিষয়ে তিনটি শর্তের কথা উল্লেখ করেছেন সরকারের প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কর্মরত পুরুষদের সন্তান জন্মের পর মানসিক ও পারিবারিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিতে এ ছুটি চালুর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এ জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ জরুরি বলে মত দিয়েছেন তিনি।
প্রথমত, কর্মক্ষেত্রে জনবল সংকট না থাকার নিশ্চয়তা থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, কর্মীর দায়িত্ব পালনে বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয়ত, সরকারি বা বেসরকারি খাতের নীতিমালায় বিষয়টি সংযোজনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। উপদেষ্টা জানান, শুধু আইন প্রণয়ন নয়, বরং সামাজিক সচেতনতা ও কর্মসংস্কৃতিতেও এ পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটি বিশ্বজুড়ে ক্রমশই স্বীকৃতি পাচ্ছে। অনেক দেশে এ সুবিধা ইতোমধ্যে চালু হয়েছে এবং ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশেও এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে পরিবার, বিশেষ করে নবজাতক ও মায়ের জন্য তা অত্যন্ত সহায়ক হবে।
সামাজিক গবেষকরা মনে করেন, পিতৃত্বকালীন ছুটি পরিবারে দায়িত্ব ভাগাভাগি ও নারী কর্মীদের মানসিক চাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠায় এটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
এ বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রস্তাবটি পর্যালোচনার কাজ চলছে। সব দিক বিবেচনা করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে তা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের নীতি পর্যায়ে আলোচনার পর গৃহীত হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সময়োপযোগী এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে তা কেবল কর্মী নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্যও ইতিবাচক প্রভাব বয়ে আনবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।