প্রতিদিন মৃত্যুকে স্মরণে দুনিয়ার আসক্তি হ্রাস ও নৈতিকতা বৃদ্ধি

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
প্রতিদিন মৃত্যুকে স্মরণ করলে দুনিয়ার প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি হ্রাস পায় এবং নৈতিকতা বৃদ্ধি পায়। ইসলামী শিক্ষা ও হাদীসে মৃত্যুচিন্তার উপকারিতা উল্লেখ আছে, যা মানুষকে বিনয়ী, পরহেজগার ও দায়িত্বশীল হতে সহায়তা করে। আধ্যাত্মিক উন্নতি ও সঠিক জীবনবোধে মৃত্যুস্মরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন।
প্রতিদিন মৃত্যুকে স্মরণ করার গুরুত্ব নিয়ে ইসলামি শিক্ষায় স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আলেমরা বলছেন, মৃত্যুর কথা নিয়মিত স্মরণ করলে মানুষের হৃদয়ে বিনয় জন্মায়, দুনিয়ার প্রতি আসক্তি কমে এবং আখিরাতের প্রস্তুতির মানসিকতা তৈরি হয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করতে উম্মতকে উপদেশ দিয়েছেন।
ধর্মীয় বিশ্লেষকদের মতে, মৃত্যুচিন্তা মানুষকে নেক আমলের প্রতি আগ্রহী করে এবং গোনাহ থেকে দূরে রাখে। এতে আত্মসমালোচনা বাড়ে, মানুষ অনিশ্চিত জীবনের বাস্তবতা উপলব্ধি করে। ফলে দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং দৈনন্দিন কাজে সতর্কতা দেখা দেয়। তারা বলেন, মৃত্যুর কথা ভুলে গেলে মানুষ অবহেলায় পড়ে যায়, পাপাচারে লিপ্ত হয় এবং আখিরাতের প্রস্তুতিকে উপেক্ষা করে।
হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, “তোমরা মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করো, কারণ এটি সমস্ত আনন্দকে ধ্বংসকারী।” আলেমরা মনে করিয়ে দেন, এই শিক্ষা কেবল ভয় প্রদর্শনের জন্য নয় বরং আত্মশুদ্ধি ও হৃদয়ের স্থিতির জন্য অপরিহার্য। মৃত্যুর কথা স্মরণ মানুষকে ধৈর্যশীল করে এবং অন্যের প্রতি সহমর্মিতা জাগায়।
মনোবিজ্ঞানীরাও বলছেন, মৃত্যুচিন্তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি জীবনকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে সহায়তা করে এবং মানুষকে সময়ের সঠিক ব্যবহার শেখায়। দায়িত্বশীল জীবনের প্রতি অঙ্গীকার বাড়ে, ফলে সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলেন, মৃত্যুর কথা স্মরণ শুধু ভীতি নয় বরং আত্মসংযম, নৈতিকতা ও আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তনের প্রেরণা। তাই প্রতিদিন কিছু সময় মৃত্যু নিয়ে চিন্তা করা জীবনের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।