দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষায় সুরা কাহফ পাঠের তাৎপর্য

দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষায় সুরা কাহফ পাঠের তাৎপর্য
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষার জন্য সুরা কাহফ পাঠের গুরুত্ব হাদীসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। জুমার দিনে সুরা কাহফ তেলাওয়াত মুমিনের ঈমানকে দৃঢ় করে, আধ্যাত্মিক নূর প্রদান করে এবং দুনিয়াবি ফিতনা থেকে রক্ষা করে। ইসলামে সুরা কাহফ পাঠের তাৎপর্য জানতে বিস্তারিত পড়ুন।

ইসলামে জুমার দিনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কোরআন তেলাওয়াত, বিশেষ করে সুরা কাহফ পাঠের ব্যাপারে হাদীসে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়। সহীহ মুসলিমসহ বিভিন্ন হাদীসগ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহফ তেলাওয়াত করবে, তার জন্য বিশেষ নূর বা আলো প্রদান করা হবে, যা এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—“যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে নূর বিকিরণ করবে।” হাদীসবিদগণ এ বর্ণনাকে গ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, সুরা কাহফ পাঠ শুধু আধ্যাত্মিক প্রশান্তিই নয়, বরং ঈমানকে দৃঢ় করে এবং আল্লাহর রহমত লাভের বিশেষ উপায় হিসেবে কাজ করে।

ধর্মীয় আলেমরা বলেন, সুরা কাহফের মূল শিক্ষা হলো ঈমানের দৃঢ়তা, আল্লাহর উপর ভরসা এবং দুনিয়াবি ফিতনা থেকে বাঁচার দিকনির্দেশনা। এ কারণে জুমার দিনে এ সূরা পাঠ মুমিনদের অন্তরে আলোক সঞ্চার করে এবং কিয়ামতের দিন নাজাতের মাধ্যম হতে পারে। বিশেষত দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষা লাভের কথাও হাদীসে উল্লেখ রয়েছে।

মুসলমানদের জন্য জুমার দিনে সুরা কাহফ পাঠ সুন্নত ও মুস্তাহাব আমল হিসেবে সুপরিচিত। ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা এ আমলকে গুরুত্ব দিয়ে পালনের আহ্বান জানান। তারা বলেন, এ সূরা পাঠে নিয়মিত মনোযোগী হলে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ধৈর্য, ঈমান ও নৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। ফলে জুমার দিনের ফজিলতের সাথে সাথে সুরা কাহফ পাঠ মুসলিম জীবনে আধ্যাত্মিক উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ