ডাকসুতে ছাত্রদল প্যানেলে ভোট দিতে নারী শিক্ষার্থীকে বিএনপি নেতার ফোন

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! নারী শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার দাবি করেছেন, চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতির পক্ষ থেকে তাকে ছাত্রদল প্যানেলে ভোট দেওয়ার জন্য ফোন করা হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের ভোটের স্বাধীনতা, প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার অভিযোগ করেছেন, তাকে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতির পক্ষ থেকে ফোন করে ছাত্রদলের প্যানেলে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি প্রকাশ করেন।
সামিয়া আক্তার বলেন, “আমার ভোট আমি নিজেই দেব এবং যাকে খুশি তাকে দেব। একজন জেলার সভাপতি আমার ভোট ঠিক করে দেওয়ার অধিকার রাখেন না।” তিনি অভিযোগ করেন, একজন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার কাছে তার মোবাইল নম্বর কীভাবে পৌঁছালো, সেটি নিয়েও তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন নয়, বরং নারীদের নিরাপত্তার জন্যও বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে।
তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “আজ তারা আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য ফোন করেছে, কাল হুমকি দিয়ে ফোন করবে না—এর নিশ্চয়তা কী?” তার অভিযোগ অনুযায়ী, অনেক নারী শিক্ষার্থী একই ধরনের ফোন পেয়েছেন, যা তাদের দৈনন্দিন জীবন ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
সামিয়া প্রশ্ন তোলেন, “ছাত্রদলের ভোটের মাঠ কি এতটাই দুর্বল যে জেলা পর্যায়ের নেতাদের দিয়ে ভোট চাইতে হচ্ছে? এটি কি তাদের ভোট বাজারে দেউলিয়াত্বের প্রকাশ নয়?” তিনি এ বিষয়ে ছাত্রদলের দায়িত্বশীল নেতাদের অবস্থান জানতে চান।
এর আগে ডাকসুর স্বতন্ত্র এজিএস পদপ্রার্থী নিয়ন মণি একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি দাবি করেন, স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ফোন করে তাকে ছাত্রদলকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান। নিয়ন মণিও ফেসবুকে বিষয়টি প্রকাশ করেন।
ডাকসু নির্বাচনের প্রাক্কালে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত নম্বরে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগ শিক্ষাঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।