লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাহী বাস খালে ডুবে ৫ জনের মৃত্যু

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রহমতখালী খালে পড়ে যায়। এতে ৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের দেরিতে আগমনের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দুর্ঘটনার কারণে যান চলাচলও কিছু সময় বন্ধ ছিল।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে রহমতখালী খালে একটি যাত্রীবাহী বাস ডুবে গেলে পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের কাছে আনন্দ পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়।
নিহতরা হলেন সদর উপজেলার শেখপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৫৭), মোরশেদ আলম (৪০), মো. মাজেদ (৩০), মো. রিপন (৪০) এবং নওগাঁর হুমায়ুন কবির। হুমায়ুন চন্দ্রগঞ্জের লতিফপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন এবং একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা বাসটি লক্ষ্মীপুরগামী পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রহমতখালী খালে পড়ে ডুবে যায়।
ঘটনার প্রাথমিক উদ্ধার তৎপরতা আশেপাশের স্থানীয়দের মাধ্যমে শুরু হয়। তারা নিজেদের উদ্যোগে বাসে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করেন। এতে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পরে প্রায় দুই ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এবং লাশ উদ্ধারসহ পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের দেরিতে আগমনকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল, যা সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি করে। পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলিতভাবে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়জুল আজীম নোমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনার এক মাস আগে একই খালে একটি মাইক্রোবাস ডুবে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তা এবং তৎপরতা বিষয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।