জুমার দিনকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের কোরআন-হাদীসে তাগিদ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
জুমার দিন ইসলামে সাপ্তাহিক শ্রেষ্ঠ দিন। কোরআন ও সহীহ হাদীসে জুমার ইবাদত, খুতবা, দোয়া ও সূরা কাহফ পাঠের বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়েছে। মুসলমানদের জন্য এদিন রহমত, মাগফিরাত ও ঐক্যের প্রতীক। জানুন জুমার আমল, ফজিলত ও কোরআন-হাদীসের নির্দেশনা।
ইসলামে জুমার দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ দিনকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের জন্য কোরআন ও হাদীসে বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা সূরা জুমুআয় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, জুমার আজান ধ্বনির পর ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ করে নামাজ ও আল্লাহর স্মরণে মনোনিবেশ করতে হবে। আলেমরা বলেন, এ আয়াত জুমার দিনকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ ইবাদতের অঙ্গীকার প্রকাশ করে।
সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, জুমার দিনে গোসল করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা এবং মসজিদে আগেভাগে উপস্থিত হওয়া মুস্তাহাব আমল। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি খুতবা মনোযোগ সহকারে শোনে ও নীরব থাকে, তার এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়, এবং আরও তিন দিনের সওয়াব বৃদ্ধি পায়। ইসলামী চিন্তাবিদরা এটিকে জুমার দিনের বিশেষ রহমত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
হাদীসে আরও উল্লেখ আছে, জুমার দিনে সূরা কাহফ তেলাওয়াত করা, দরুদ শরিফ অধিক পাঠ করা এবং দোয়া করার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। বর্ণনায় এসেছে, এদিন একটি বিশেষ সময় আছে, যখন বান্দার দোয়া নিশ্চয় কবুল হয়। এজন্য বিশ্ব মুসলিম সমাজ জুমার দিনকে দোয়া ও ইবাদতের এক মহামূল্যবান সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে।
ধর্মীয় বক্তারা বলেন, জুমার দিনের ইবাদত কেবল ব্যক্তিগত আমলেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি সমাজে ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য ও নৈতিকতার বন্ধনকে দৃঢ় করে। সাপ্তাহিক এ সমাবেশ মুসলমানদের জন্য আধ্যাত্মিক শক্তি ও সামাজিক সচেতনতার প্রতীক। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত জুমার দিনকে যথাযথ গুরুত্বসহকারে পালন করা এবং কোরআন-হাদীসে বর্ণিত নির্দেশনার আলোকে আমল করা
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।