ফজর নামাজ শয়তানের বিরুদ্ধে ইমানদারদের বিজয়

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ফজর নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শয়তানের বিরুদ্ধে প্রথম জয়লাভ করে ইমানদার। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নিদ্রা যায়, তখন তার ঘাড়ে শয়তান তিনটি করে গিঁট বেঁধে দেয়; প্রতিটি গিঁটে সে এই মন্ত্র পড়ে যে, ‘তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি ঘুমাও।’ তথাপি যদি সে জেগে আল্লাহর জিকির করে, তা হলে একটা গিঁট খোলে। যদি অজু করে, তাহলে আরেকটা খোলে। যদি নামাজ পড়ে, তা হলে বাকিটা মানে সবগুলো খুলে যায়। তার প্রভাত হয় স্ফূর্তি ও ভালো মনে। অন্যথায় সে সকালে ওঠে কলুষিত মনে ও অলসতা নিয়ে।’ (বুখারি, হাদিস: ১,১৪২)
ফজর নামাজের জন্য জেগে ওঠা অনেকের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে মুমিনরা সে-কষ্ট জয় করে নেয়, এবং মুনাফিকরা হেরে যায়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মুনাফিকদের জন্য ফজর ও ইশার নামাজের চেয়ে কষ্টকর আর কিছু নেই।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৫৪৪)
তিনি আরও বলেছেন, ‘মানুষ যদি ফজর ও ইশার নামাজের গুরুত্ব বুঝতে পারত, তা হলে তারা হামা গুঁড়ি দিয়ে হলেও উভয় নামাজে উপস্থিত হতো।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৫৭)
তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজর নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর দায়িত্বে চলে গেল। (তিরমিজি, হাদিস: ২,১৮৪)
আবু জুহাইর উমারা ইবনে রুয়াইবা (রা.) বলেন, ‘আমি মহানবীকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে (ফজর ও আসরের ওয়াক্ত) নামাজ আদায় করবে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৩৪)
আল্লাহ ফজরের নামাজকে গুরুত্ব দিয়েছেন । ‘ফজর’ নামে কোরআনে পূর্ণাঙ্গ একটা সুরা নাজিল করেছেন । আল্লাহ সেখানে শপথ করে বলেন, ‘শপথ উষার!’ (সুরা ফজর, আয়াত: ১)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের মর্যাদাবান বরকতপূর্ণ রব দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। যে আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করব। যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। তারপর তিনি হাত বাড়িয়ে দেন এবং বলেন, কে আছে যে এমন সত্তাকে ঋণ দেবে, যিনি অভাবী নন; অত্যাচারীও নন। সকাল পর্যন্ত এ কথা বলতে থাকেন।’ (বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫)
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।