হিরের বৃষ্টি! এক অদ্ভুত গ্রহের রহস্য যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সৌরজগতের নেপচুন যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে, সূর্য থেকে আলো পৌঁছতে লাগে প্রায় চার ঘণ্টা, আর নেপচুনের একবার সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে লাগে প্রায় ১৬৫ বছর। এই দূরত্বের কারণে মানুষ কখনোই নেপচুনে পা রাখেনি, এবং ভবিষ্যতেও তা সীমিত সম্ভাবনার মধ্যে। তবে ১৯৮৯ সালে ভয়েজার ২ নভোযান এই গ্রহের কাছে পৌঁছায়, এবং পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ ছবি ও তথ্য পাঠায়।
নেপচুন কেবল সৌরজগতের দূরতম গ্রহ নয়; এটি ঝড়ের রাজা হিসেবেও পরিচিত। গ্রহের বাতাসের গতি ঘণ্টায় প্রায় ২১০০ কিলোমিটার, যা পৃথিবীর কোনো ঝড়ের গতিকে হার মানায়। এই ঝড়ের কেন্দ্রকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন গ্রেট ডার্ক স্পট। ভয়েজার ২ এবং হাবল স্পেস টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণেই বিজ্ঞানীরা এই অতিপ্রাকৃতিক গতি ও মেঘের ঘূর্ণন নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
আপনি হয়তো ভাবছেন-দূরের নেপচুনের সাথে সাধারণ পলিথিনের কী সম্পর্ক হতে পারে? সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নেপচুনের ভেতরের গঠন ও চুম্বকীয় ক্ষেত্রের বিশ্লেষণে পলিথিন ব্যবহার করেছেন। ছোট পলিথিনের কণার ওপর আলো বা চুম্বকীয় চাপ প্রয়োগ করে গবেষকরা নেপচুনের ঘনত্ব, তাপমাত্রা এবং দহনশীলতা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। অর্থাৎ, পলিথিন পরীক্ষা নেপচুনের গভীর রহস্য ভেদ করতে সাহায্য করেছে।
নেপচুনের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য:
⇨ আলো প্রতিফলন: ভয়েজার ২'র মাধ্যমে দেখা গেছে, নেপচুন কতটা আলো প্রতিফলিত করে।
⇨ বরফ ও গ্যাসের মিশ্রণ: গ্রহের অভ্যন্তরীণ স্তরে বরফ, জল এবং অ্যামোনিয়ার মিশ্রণ রয়েছে, যা উচ্চ চাপে কঠিন হয়।
⇨ চুম্বকীয় ক্ষেত্র: নেপচুনের চুম্বকীয় ক্ষেত্র পৃথিবীর চেয়ে অনেক শক্তিশালী এবং এর ভৌগোলিক কেন্দ্র থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সরে আছে।
⇨ উজ্জ্বল সাদা মেঘ: দ্রুত বায়ুর কারণে মেঘগুলো গ্রহের চারপাশে ঘুরে যায়, যা ঝড়ের গতিশীলতা পরিমাপ করতে সাহায্য করে।
ভবিষ্যতে আরও উন্নত নভোযান ও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে নেপচুনের অভ্যন্তরীণ গঠন, আবহাওয়া এবং চুম্বকীয় ক্ষেত্রের বৈচিত্র্য আরও বিস্তারিতভাবে জানা যাবে। পলিথিনের মতো সহজ পরীক্ষাও এমন গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে।
নেপচুন সৌরজগতের দূরতম বরফজগৎ, যেখানে ঘণ্টায় ২১০০ কিলোমিটারের ঝড় বয়ে যায় এবং অদ্ভুত চুম্বকীয় ক্ষেত্রের রাজত্ব। আর পলিথিনের মতো সরল পদার্থও বিজ্ঞানীদের নেপচুনের ভেতরের গঠন ও রহস্য উন্মোচনে সহায়ক। ফলে বলা যায়, দূরত্ব এবং পার্থক্য যতই বড় হোক না কেন, সঠিক বিজ্ঞানী ও সঠিক পদ্ধতি সবকিছুই সম্ভাব্য।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।