স্থানীয়রা জানান, বাঁধটির কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধস নামায় তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও অবহেলার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। একাধিক কৃষক জানান, সিসি ব্লক পর্যাপ্ত পরিমাণে ফেলা হয়নি। ফলে নদীর প্রবল স্রোতে বাঁধ টিকতে পারছে না। কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাঁধটি ধসে গেলে কয়েক হাজার হেক্টর আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে যাবে। অন্যদিকে কৃষক আব্দুল হোসেন অভিযোগ করেন, কাজের মান রক্ষা না করায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্না হক জানান, উজানে চর জেগে ওঠায় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে সরাসরি স্রোত বাঁধে আঘাত করছে। এ কারণে কিছু অংশ ধসে পড়েছে। তিনি বলেন, আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চলছে, পানি কমে গেলে স্থায়ীভাবে মেরামত করা হবে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, প্রকল্পের ওই এলাকায় রংপুরের ঠিকাদার হাসিবুল হাসান কাজ করছেন, তবে এখনো কাজ হস্তান্তর হয়নি। বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সম্পূর্ণ দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, বাঁধের ওপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ৬২৯ কোটি টাকার ‘ধরলা প্রকল্প’ হাতে নেওয়া হয়। এর আওতায় প্রায় ২০ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ, ১৮ কিলোমিটার বিকল্প বাঁধ এবং ১৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, প্রকল্পের ৯৭ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।