পাঁচ ব্যাংকে জমা টাকা, গ্রাহকরা ফিরছেন খালি হাতে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
আওয়ামী সরকারের আমলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে ব্যাপক লুটপাটের খেসারত দিচ্ছে সাধারণ গ্রাহক। বর্তমানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। তুলতে পারছেন না গচ্ছিত টাকাও।
দেশের বেসরকারি পাঁচটি ব্যাংক- এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিনের অনিয়ম, লুটপাট, দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের উদাসীনতাই এই পরিস্থিতির মূল কারণ। একসময় বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিলেও এখন তা বন্ধ করে দিয়েছে।
ফলে এসব ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন চরম ভোগান্তির শিকার। অনেকেই কয়েক হাজার টাকার বেশি তুলতে পারছেন না, আবার অনেকে একেবারেই টাকা পাচ্ছেন না।
রাজধানীর মতিঝিল, হাটখোলা, বনানী ও মিরপুরের বিভিন্ন শাখায় প্রতিদিনই গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু টাকা না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে ফিরছেন।
মতিঝিলের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের একজন গ্রাহক কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তিনি ছেলের স্কুলের বেতন দিতে এসেও টাকা পাননি। ব্যাংক কর্মকর্তারা শুধু 'কাল-পরশু' বলে আশ্বস্ত করছেন।
অন্যদিকে, ইউনিয়ন ব্যাংকের হাটখোলা শাখায় কর্মকর্তারা অসহায়ভাবে জানাচ্ছেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা বন্ধ করায় গত এক মাসের বেশি সময় ধরে তারা কোনো অর্থ ফেরত দিতে পারছেন না। এমনকি অনেক কর্মকর্তা নিজেদের বেতনও পাচ্ছেন না।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যাংক খাতের এই সংকট একদিনে তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর রাজনৈতিক প্রভাব, খেলাপি ঋণ, কাগুজে ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদান এবং আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণেই এই দুর্দশা।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধীরে ধীরে মার্জার ও সংস্কারের আওতায় আনা হবে।
তবে এতে সাধারণ গ্রাহকের দুর্ভোগ কমছে না, বরং জরুরি প্রয়োজনে টাকা তুলতে না পেরে ধারদেনায় জড়িয়ে পড়ছেন অনেকেই।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।