আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ড. জাহিদ হোসেন তার এ বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভারত ও চীনের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন যে হারে শুল্ক আরোপ করেছে, তাতে বাংলাদেশের জন্য মার্কিন বাজারে ২০৫ কোটি ডলারের বেশি রপ্তানি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ড. জাহিদ হোসেন বিশ্লেষণ করেন, ভারতের ওপর বাংলাদেশের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশ ১২০ থেকে ২০৭ কোটি ডলার বেশি রপ্তানি করতে পারবে। অন্যদিকে, চীনের ওপর বেশি শুল্ক আরোপের কারণে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি ৭ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ ‘মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে’ আটকে আছে। এর কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট, দুর্বল ব্যাংক খাত, লজিস্টিক সিস্টেমের দুর্বলতা, অনুন্নত শ্রম বাজার এবং প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয়কে দায়ী করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মাহবুবুর রহমান নিরাশা ব্যক্ত করেন যে, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে যে পরির্তনের আশা করা হয়েছিল সেটি হয়নি বরং বৈষম্য বেড়েছে।

উল্লেখ্য, আজকের এই অনুষ্ঠানটি প্রয়াত সাংবাদিক ও ইআরএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে আয়োজন করা হয়।
ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় এই স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।