১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেল বাংলাদেশঃ বিডা

১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেল বাংলাদেশঃ বিডা
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশ প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিডা’র বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, এই বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রবাহ একটি ইতিবাচক প্রবণতা।

গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিডা অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় নাহিয়ান রহমান রোচি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোর প্রায় ২০ শতাংশ ইতোমধ্যেই অগ্রসর পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে রয়েছে চুক্তি স্বাক্ষর, জমি ইজারা নিশ্চিতকরণ এবং বরাদ্দপত্র।

রোচি বলেন, "আমাদের লক্ষ্য কেবল বিনিয়োগের পরিমাণ নয়, বরং এর গুণগত মান ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবং প্রক্রিয়া আরও সহজতর হলে আগামী পাঁচ মাসে আরও কার্যকর ফলাফল বয়ে আনতে পারে।"
তিনি জানান, আরও প্রায় ২০ শতাংশ প্রস্তাব এখন গভীর পর্যালোচনার অধীনে, যা আনুষ্ঠানিক নথিপত্রের পূর্ববর্তী ধাপ। কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে, এই ধাপভিত্তিক বিনিয়োগ পাইপলাইন আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসে পুঁজি প্রবাহের একটি বাস্তবসম্মত চিত্র প্রদান করবে।


এ বিষয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বিনিয়োগের প্রায় ৬০ শতাংশ বর্তমানে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক আলোচনা ও প্রকল্প পরিকল্পনা। রোচি বলেন, এটি বৃহৎ পরিসরের বিনিয়োগের একটি স্বাভাবিক ধারা। বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ প্রস্তাবই এই অনুসন্ধানী পর্যায় থেকে শুরু হয়।

বেজার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী সদস্য মো. নজরুল ইসলাম জানান, বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য একটি ইউনিফাইড ইনভেস্টমেন্ট পোর্টাল চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পোর্টালে বিনিয়োগের অগ্রগতি, জমির প্রাপ্যতা ও অনুমোদন সংক্রান্ত সব তথ্য একটি প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, এই পোর্টালটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং প্রশাসনিক ফলোআপের সময় কমিয়ে আনবে। এটি বিনিয়োগের বিভিন্ন ধাপের রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং সুবিধাও দেবে।

টেকসই বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বেজা আন্তর্জাতিক পরামর্শকদের সহায়তায় একটি বিশেষ গবেষণা ইউনিটও চালু করেছে। এই ইউনিট বর্তমানে রাবার, আসবাবপত্র, ওষুধ শিল্প এবং পর্যটনের মতো সম্ভাবনাময় খাতগুলো চিহ্নিত করছে।

তবে নাহিয়ান রহমান রোচি সতর্ক করে বলেন, প্রস্তাব পাওয়া উৎসাহজনক হলেও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সেগুলোকে কার্যকর প্রকল্পে রূপান্তর করা।
তিনি বলেন, "জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে অবকাঠামো প্রস্তুতি ও ইউটিলিটি সেবা নিশ্চিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।"

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ