বিসিএস ক্যাডার হয়েও করবেন না জয়েন, কৃষি কাজেই মনোযোগ দিতে চান

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
বাংলাদেশী তরুণদের স্বপ্নের সরকারি চাকরির নিশ্চিত ভবিষ্যৎ ছেড়ে কৃষির প্রতি ভালোবাসা এবং উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নপূরণে বিরল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হাবিবুল্লাহ আল মারুফ। এমনকি তরুণদের বহুল কাঙ্ক্ষিত বিসিএস চাকুরিতেও ধরা দেননি এই তরুণ। ৪৪তম বিসিএসে পোস্টাল ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও সেই পদে যোগ দিচ্ছেন না মারুফ।
তালিকায় রয়েছে কৃষি ব্যাংকের চাকরিও। মেধাবী এই তরুণ বিসিএস এবং ব্যাংক দুটোকেই তোয়াক্কা না করে এখন পুরোদমে একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা। যার প্রতিষ্ঠানের নাম “রুপাই এগ্রো”।
হাবিবের এই সিদ্ধান্তকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রজ-অনুজের “হেডাম” বলে অবিহিত করছে আর দেশের মানুষ বলছে তার এই “সাহস” গতানুগতিক ধারার বাইরে এক ব্যতিক্রমী জীবনবোধের পরিচয়।
সাহসী এই তরুণ হাবিবুল্লাহ আল মারুফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। স্নাতক সম্পন্ন করে নিজের জেদকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি আইবিএ (ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) থেকে এমবিএ করেন। আইবিএ থেকে সফলভাবে এমবিএ সম্পন্ন করার পর তিনি কৃষি ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্পোরেট জীবনের সীমাবদ্ধতায় নিজের উদ্যমী মনকে আটকে না রেখে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সেই চাকরি ইস্তফা দেন।
উদ্যোক্তা হাবিবুল্লাহ আল মারুফের রয়েছে আরো পরিচয়। তিনি একজন বিতার্কিক এবং ইংরেজি শিক্ষক। সফলতার সাথে ‘Me Learning’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে ‘Join English’ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় রয়েছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন লেখকও। শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে তার লেখা বই বেশ পরিচিত।
তবে হাবিবুল্লাহ আল মারুফের বর্তমান এবং সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তার প্রতিষ্ঠিত 'রুপাই এগ্রো' কৃষিক্ষেত্রে এক সমন্বিত উদ্যোগের নাম। কৃষি নিয়ে প্রায় সকল আধুনিক চিন্তা-উদ্ভাবনী ধারণার প্রায় সবকিছুরই সম্মিলিত রূপ দেখা যায় রুপাই এগ্রোতে।
উন্নত বীজ উৎপাদন থেকে শুরু করে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি, কৃষিভিত্তিক প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজারজাতকরণ—সবকিছু নিয়েই কাজ করছে রুপাই এগ্রো। দেশের কৃষিখাতে বিপ্লব ঘটানোর স্বপ্ন দেখছেন হাবিব।
তার এই অদম্য স্পৃহা এবং ব্যতিক্রমী উদ্যোগ তাকে একদিন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও পরিচিত করে তুলবে বলে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বিশ্বাস করেন।
তার এই উদ্যোগ দেশের যুবসমাজকে প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করার সাহস যোগাবে।