৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি জুনে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গত অর্থবছরের শেষ মাসে অর্থাৎ জুনে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সরকার বলছে খাদ্যপণ্যের দাম কমে আসার কারণেই মূল্যস্ফীতিতে এই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আজ, সোমবার (৭ জুলাই) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ২০২২ সালের জুলাইয়ের পর সবচেয়ে কম।
২০২২ সালের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৪৮ শতাংশ। এরপর তা বেড়ে পরের মাসে ৯.৫২ শতাংশে পৌঁছায়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এটি ৮.৫৭ শতাংশে নেমে এলেও, পরবর্তীতে প্রায় প্রতি মাসেই বাড়তে থাকে এবং ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ১১.৬৬ শতাংশে ঠেকে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরের কয়েক মাস সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৯ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যেই ওঠানামা করছিল। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সরকার মূল্যস্ফীতি কমার তথ্য দিচ্ছে।
সবশেষ মে মাসে বিবিএস মূল্যস্ফীতি ৯.০৫ শতাংশে নেমে আসার তথ্য দেয়, যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর বা ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। এবার তা আরও কমে এসেছে বলছে সরকার।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, "অন্তর্বর্তী সরকারের 'সুচিন্তিত' নীতি-কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে।" তিনি আরও জানান, "জুন ২০২৫ মাসের উপাত্ত অনুযায়ী পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের তুলনায় ২ শতাংশ-বিন্দু (পয়েন্ট) কম। খাদ্য মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়ে ৭.৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। খাদ্য-বহির্ভুত মূল্যস্ফীতিও কমতে শুরু করেছে এবং আগামীতে তা খুব দ্রুত কমে আসবে।"
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে খাদ্যে মূল্যস্ফীতিও কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৩৯ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৮.৫৯ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ঠেকেছে ৯.৩৭ শতাংশে, যা মে মাসে ছিল ৯.৪২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে শহর ও গ্রামে খাদ্য ক্রয়ের খরচ কমেছে। এ খাতে শহরে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭.৯৯ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৯.২৯ শতাংশ। অন্যদিকে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুনে দাঁড়িয়েছে ৭.১৪ শতাংশে, যা মে মাসে ছিল ৮.৩০ শতাংশ।
গ্রামে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি মে মাসের ৯.৭৫ শতাংশ থেকে সামান্য কমে জুনে ৯.৭২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। শহরে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি মে মাসের ৯.৬৩ শতাংশ থেকে কমে জুনে দাঁড়িয়েছে ৯.৫৩ শতাংশে।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।