বিএনপির বিপরীতে বিকল্প শক্তি গড়তে ইসলামপন্থী দলগুলোর উদ্যোগ

বিএনপির বিপরীতে বিকল্প শক্তি গড়তে ইসলামপন্থী দলগুলোর উদ্যোগ
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একাধিক ইসলামপন্থী দল বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে সক্রিয় তৎপরতা চালাচ্ছে। বিএনপির বিপরীতে নতুন একটি ভোট-জোট গঠনের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিসসহ কওমি ঘরানার বেশ কয়েকটি দল পরস্পরের সঙ্গে সংলাপে বসেছে।

এই উদ্যোগকে এখনই ‘জোট’ বলতে নারাজ সংশ্লিষ্ট নেতারা। তবে তারা বলছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এ আলোচনা একটি আনুষ্ঠানিক কাঠামো পেতে পারে। এ লক্ষ্যে একটি লিয়াজোঁ কমিটি ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান জানান, "মানুষ একটি বিকল্প শক্তি খুঁজছে। সে চিন্তা থেকেই ইসলামপন্থী দলগুলো একমঞ্চে আসার প্রয়াস চালাচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "আমরা কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নই, বরং নিজেদের অবস্থান জনগণের সামনে পরিষ্কার করতে চাই।"

সম্প্রতি ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে জামায়াত, এনসিপি ও অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর নেতারা অংশ নেন। সেখানে নির্বাচনী সংস্কার ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবির পক্ষে একমত হন বক্তারা। তবে ঐ সমাবেশে বিএনপির কোনো প্রতিনিধিত্ব ছিল না।

জানা গেছে, কওমি ঘরানার পাঁচটি দল-বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি ও খেলাফত মজলিস-চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে প্রাথমিক সমঝোতায় এসেছে। তাদের লক্ষ্য, ইসলামপন্থীদের ভোট ছড়িয়ে না গিয়ে একক প্রার্থীর মাধ্যমে কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হওয়া।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, "দেশের ইসলামি ও দেশপ্রেমিক দলগুলো কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে চায়। নির্বাচন সামনে রেখে একটি সুসংগঠিত জোটের চিন্তা করা হচ্ছে, যা বিএনপির বিকল্প শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।"

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এ উদ্যোগের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মতে, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের কিছু পদক্ষেপ বিভ্রান্তিকর এবং একাধিক সংস্কার প্রস্তাবে মতভেদ রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সমঝোতা তৎপরতা শেষ পর্যন্ত একটি শক্তিশালী জোটে রূপ নিতে পারে। তবে তা কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করবে তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী বাছাই, মাঠপর্যায়ের সমর্থন এবং রাজনৈতিক বাস্তবতার ওপর।


সম্পর্কিত নিউজ