দুদকের অনুসন্ধানে এনবিআরের ৫ কর্মকর্তা: তালিকায় দুই কমিশনারও

দুদকের অনুসন্ধানে এনবিআরের ৫ কর্মকর্তা: তালিকায় দুই কমিশনারও
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে দুইজন কমিশনার পর্যায়ের।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক এ তথ্য জানিয়েছে।

যাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে, তাঁরা হলেন:
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান
ঢাকা পূর্ব কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন
আয়কর বিভাগের অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা
উপকর কমিশনার মো. মামুন মিয়া
কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ

উল্লেখ্য, অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মহাসচিব, যা এনবিআরের একটি আন্দোলনকারী সংগঠন। এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, এই আন্দোলনের জেরেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি করার জন্য এমন তদন্ত করা হচ্ছে।

দুদকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই কর্মকর্তারা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে যে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও এনবিআরের কর্মকর্তারা নিজেদের লাভবান করার জন্য নির্ধারিত কর আদায় না করে করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন। এর ফলে প্রতিবছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

দুদক আরও জানায়, অনেক করদাতা আগাম কর দেন বা বেশি কর দেন। নিয়ম অনুযায়ী, হিসাব-নিকাশ শেষে অতিরিক্ত কর ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও, তথ্য-উপাত্ত এবং সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরও অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়। অভিযোগ আছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা এই টাকা ফেরত দিতে গিয়ে নিজেরাও মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত চার দিনে এনবিআরের সদস্য ও কমিশনারসহ উচ্চ পদের মোট ১১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তাঁদের মধ্যে এনবিআরের দুজন সদস্য এবং এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদারও রয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে যে, এসব কর্মকর্তা তাঁদের বিভিন্ন কর্মস্থলে থাকাকালীন সময়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে এবং নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।


সম্পর্কিত নিউজ