আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে থানার সামনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ছিনিয়ে নেওয়া দুই আসামি হলেন পাটগ্রাম উপজেলার মমিনপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৩) এবং একই উপজেলার মির্জারকোট গ্রামের সামসুল হকের ছেলে সোহেল রানা চপল (৩৫)। জানা গেছে, তারা দুজনেই স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস জানান, বুড়িমারী-রংপুর মহাসড়কে পাথর ও বালুবোঝাই ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে উপজেলার সরেয়ার বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেলাল ও সোহেলকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বেলাল ও সোহেলকে কারাদণ্ড দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই একদল লোক পাটগ্রাম থানার সামনে জড়ো হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। কিন্তু হামলাকারীরা থানায় ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এবং দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত সাতজন সদস্য আহত হয়েছেন এবং তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।"

এ সময় রংপুরের অতিরিক্ত ডিআইজি শরীফ উদ্দিন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রাকিব হায়দার, জেলা পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম এবং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।