ওসির ব্যর্থতায় পলাশ বাঁচলো, হামলার শিকার নারী নেত্রী এখন নিরাপত্তাহীন

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সদস্য শাহীন সাজ্জাদ পলাশ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, হুমকি এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছেন জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহমুদা সুলতানা রিমি। একইসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বাড্ডা থানার ওসি এবং তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
রিমির অভিযোগ, তার বড় বোন ২০১৭ সাল থেকে পলাশের কাছে ২০ লাখ টাকা পাওনা রয়েছেন। পলাশ টাকা ফেরত না দিয়ে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন এবং নিজেকে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে ভয় দেখিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ২০ জুন দক্ষিণ বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় পলাশের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশকে জানালেও রাত ১২টার দিকে গিয়ে পুলিশ ফাঁকা বাসায় পৌঁছায়। এ সময় পলাশ পালিয়ে গেলেও তার স্ত্রী টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন বলে দাবি করেন রিমি।
পরবর্তীতে ২৩ জুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয় এবং তদন্ত কর্মকর্তা রিমিকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্তের বাসায় গেলে সেখানেই হামলার শিকার হন রিমি ও তার সঙ্গীরা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তদন্ত কর্মকর্তার নিচে নামার কিছুক্ষণ পরই ছয়জন সন্ত্রাসী বাসায় প্রবেশ করে রিমিকে মারধর করে এবং তার ফোন কেড়ে নেয়। হামলাকারীদের মধ্যে পলাশের ভাই সোহাগ ও শিমুল ছিলেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
রিমি বলেন, ‘‘এটি কেবল একটি হামলা নয়, বরং প্রশাসনের নীরবতা এবং ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে সংগঠিত একটি পরিকল্পিত হামলা।’’
সিসিটিভি ফুটেজে হামলার সময়ের বেশ কিছু দৃশ্য দেখা গেছে, যা রিমি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন।
ঘটনার বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ‘‘অভিযুক্ত আওয়ামী নেতার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর বোন মামলা করেছেন। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, আশা করছি দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’’
তবে হামলাকারীদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার না করা এবং তদন্তে প্রশাসনের ধীরগতির কারণে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নারী নেত্রী মাহমুদা সুলতানা রিমি বলেন, “প্রশাসনের কাছে বারবার বিচার চেয়েও কোনো সাড়া পাচ্ছি না। আর কত রক্ত ঝরলে রাষ্ট্র তার দায়িত্ব নেবে?