প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্মেলনে উপস্থিত ন্যাটো নেতাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করে ৫% পর্যন্ত সম্মত হয়েছে। তিনি জানান, আগে ২% লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও অনেক দেশ তা পূরণ করেনি। তবে তার পুনর্নির্বাচনের পর সকল সদস্য রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি নিয়েও তিনি জোরালো মন্তব্য করেন। ট্রাম্প দাবি করেন, “এই হামলা ছিল সম্পূর্ণ সফল। এর মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম কয়েক দশকের জন্য পিছিয়ে গেছে।” যদিও গোপন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে হামলার প্রভাব নিয়ে কিছুটা দ্বিধা দেখা যায়, ট্রাম্প ও তার সহকর্মীরা এটিকে "সম্পূর্ণ ধ্বংস" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, “এই সাফল্য শুধু আমাদের নয়, পুরো বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। আমরা দেখিয়েছি, শান্তির জন্য আমরা শক্তি প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।” তিনি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হওয়াকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ের পারমাণবিক হামলার সঙ্গে তুলনা করেন।

এদিকে, সম্মেলনে ইউক্রেন ইস্যু এবং গাজা উপত্যকার বর্তমান অবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, গাজা থেকে জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে সফল হামলা এতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।