আফ্রিকায় ইউক্রেনের কূটনৈতিক অভিযান, সামরিক প্রশিক্ষণ প্রস্তাব

আফ্রিকায় ইউক্রেনের কূটনৈতিক অভিযান, সামরিক প্রশিক্ষণ প্রস্তাব
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেন শুধু সামরিক ময়দানেই নয়, কূটনৈতিক ফ্রন্টেও সক্রিয়। বিশেষ করে আফ্রিকায় মিত্র সংগ্রহে ইউক্রেন ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার মৌরিতানিয়ায় নবনির্মিত দূতাবাসসহ ২০২২ সালের যুদ্ধের পর আফ্রিকায় মোট আটটি দূতাবাস স্থাপন করেছে কিয়েভ। এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অন্যতম হাতিয়ার হলো ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ কর্মসূচি, যার মাধ্যমে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

মৌরিতানিয়ার এমবেরা শরণার্থী শিবিরে এই খাদ্যসামগ্রী প্রধানত মালির সহিংসতা থেকে পালানো লোকদের জন্য বরাদ্দ। আফ্রিকার দেশগুলোতে রাশিয়ার প্রভাব এবং ওয়াগনার গ্রুপের মত ভাড়াটে বাহিনীর উপস্থিতি ইউক্রেনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও ইউক্রেন আফ্রিকান দেশগুলোকে প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

তবে এখানেও সমস্যা রয়েছে। ইউক্রেন-আফ্রিকা সম্মেলন স্বশরীরে আয়োজনের পরিবর্তে ভার্চুয়ালি আয়োজন করতে হয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়া ২০২৩ সালে সফল আফ্রিকা সম্মেলনের আয়োজন করেছে। যদিও প্রাথমিকভাবে ইউক্রেনের কৌশল অসংলগ্ন ছিল, ধীরে ধীরে তা আরও সংগঠিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আফ্রিকান ইউনিয়নের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করেছেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছেন। সফরে জেলেনস্কি ইউক্রেনের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে আফ্রিকার ঔপনিবেশিক ইতিহাসের মিল তুলে ধরেন।


সম্পর্কিত নিউজ