গুলিবিদ্ধ শিশুদের কান্নায় গাজা স্তব্ধ!

গুলিবিদ্ধ শিশুদের কান্নায় গাজা স্তব্ধ!
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

গাজা সিটির শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ যেন এক মৃত্যুপুরী। গত কয়েকদিনে ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে আহতদের ঢল নেমেছে এখানে। ভোর থেকেই হাসপাতালটি কানায় কানায় ভরে উঠেছে। তবে আজকের সকালটা যেন আরও ভারী, আরও নিস্তব্ধ। এই নীরবতা কোনো শান্তির বার্তা দেয় না, বরং এটা আরও ভয়াবহ বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। কারণ বোমা ও বিস্ফোরণ থেমে নেই এবং হত্যাকাণ্ডও বন্ধ হয়নি।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে যে আহতরা আসছেন, তাদের অনেকেই ছিলেন খাদ্যের অপেক্ষায়। অধিকাংশেরই মাথা বা বুক লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ জনের মাথায় গুলির আঘাত। ১৫ জনেরও বেশি ব্যক্তি বুকে গুলিবিদ্ধ। অনেকেই দগ্ধ হয়েছেন আগুনে। পুরো পরিবারসহ আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীরাও এখানে এসেছে। শিফা হাসপাতাল আগে থেকেই আহত ও শিশুতে পরিপূর্ণ ছিল। এখন ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় একাধিক এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। হামলায় বহু শিশু আহত হয়েছে। অনেকে হ্যান্ডকার্ট, বেসরকারি গাড়ি কিংবা পশুচালিত গাড়িতে করেও হাসপাতালে পৌঁছেছে। হাসপাতালের করিডোরে দেখা যায় চিকিৎসার জায়গা নেই, শয্যা নেই, যন্ত্রপাতি নেই, ওষুধ নেই। অনেকেই মেঝেতে পড়ে আছেন, কেউ সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন, কেউ কেবল কাঁদছেন।

সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দৃশ্য হলো, চিকিৎসক এবং নার্সরা চরম ক্লান্তিতে নুয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ একটানা ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। হাসপাতালের ভেতরে শুধু কান্নার আওয়াজ, আর বাইরে ড্রোনের গর্জন। এখানকার ভয় কখনো শেষ হয় না। আন্তর্জাতিকভাবে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির খবর ছড়িয়ে পড়লেও গাজাবাসীর জীবনে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। মৃত্যু, আতঙ্ক, ও চিকিৎসা সংকট এই তিনেই চলছে গাজার দিনরাত।


সম্পর্কিত নিউজ