এই সিদ্ধান্তের পেছনে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উত্তেজনাকেই বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর তেহরান পাল্টা প্রতিক্রিয়ার হুমকি দেয়, যা গোটা উপসাগরীয় অঞ্চলে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

বিশ্ব গণমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে, আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণার পাশাপাশি কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতাবাস তাদের নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে। তারা পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া, কাতারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামীকাল (সোমবার) দেশজুড়ে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। সম্ভাব্য নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কাতারের এই সিদ্ধান্ত উপসাগরীয় অঞ্চলের আকাশপথ ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্যিক ফ্লাইট, এবং সামগ্রিক আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ এখন উপসাগরীয় অঞ্চলের দিকেই, যেখানে যেকোনো সামান্য উত্তেজনা বড় ধরনের সংঘাতে রূপ নিতে পারে।