জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান একটি স্বাধীন ও শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র হিসেবে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছে যেন মার্কিন সরকার এই ধরনের আগ্রাসন থেকে বিরত থাকে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রক্সি হামলার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত।

মার্কিন প্রতিনিধি পক্ষও পাল্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানিয়েছেন, আমেরিকান ঘাঁটি বা নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইরানের যেকোনো আক্রমণের কঠোর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ‘শান্তিকে একটি সুযোগ দেওয়ার’ আহ্বান জানান। ৪৮ ঘণ্টা আগেই দেওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্য যেনো এই অধিবেশনে উপেক্ষিতই রয়ে গেছে।

ফোর্ডোতে হামলা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক বিপজ্জনক মোড় তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ নিয়ে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান একটি যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। খসড়া প্রস্তাবটি বর্তমানে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে এবং তা আগামী দিনে ভোটে গৃহীত হতে পারে।