মাসুদ কামাল বলেন, “ড. ইউনূস জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এসেছেন বলা হলেও বাস্তবে তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ঘরে ঘরে ঝগড়া লাগিয়ে দিয়েছেন। এটি তাঁর একমাত্র সফলতা হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনীতিতে বর্তমানে যে মেরুদণ্ডহীন, নীরব রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, তাদের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মাসুদ কামালের মতে, “এই দলগুলো মনে করে কিছু বললে নিজের উপর দোষ এসে পড়বে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আপনি চুপ থাকবেন কেন? আপনাদের কি মুখ নেই?”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “জাতীয় ঐকমত্যের মানদণ্ড কী? এখানে কি পুরো জাতি অংশ নিয়েছে? কে ঠিক করবে কারা স্বৈরাচারের দোসর, কারা নয়?”

তিনি বলেন, “ড. ইউনূস একতরফাভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যেটা একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী।” মাসুদ কামালের প্রশ্ন, “আওয়ামী লীগের হাজার হাজার ভোটার রয়েছে। তাদের অবস্থান কি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে?”

জাতীয় পার্টির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনারা জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করেননি, তাহলে তাদের রাজনীতি করতে দেন না কেন?”

সবশেষে মাসুদ কামাল মন্তব্য করেন, “আমরা এখন মব পলিটিক্সের মধ্যে পড়ে গেছি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে। আর যারা মুখ খোলার কথা, তারাই চুপ।”

এই মন্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই একমত, আবার অনেকেই একে বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও সমালোচনা করছেন।