ট্রাম্প তাঁর পোস্টে ইরানের প্রতি “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ” আহ্বান করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা জানি তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু। তবে এখনই তাকে মারা হবে না। কিন্তু বেসামরিক জনগণ বা মার্কিন সেনাদের দিকে কোনো মিসাইল ছোড়া হলে তা সহ্য করা হবে না।”

ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতের পঞ্চম দিনে। এরই মধ্যে ইরানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি শীর্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে, ইসরায়েল খামেনিকে হত্যা করার একটি পরিকল্পনা পেশ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে। তবে মার্কিন প্রশাসন সেই প্রস্তাব বাতিল করেছে। 

হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করেছিলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে সংঘাত আরও ঘনীভূত হবে এবং গোটা অঞ্চলে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে। তাই তাৎক্ষণিক হত্যার পথে না গিয়ে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। 

ট্রাম্প তেহরানবাসীদের শহর ছেড়ে দেয়ার হুমকি জানিয়েছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তেহরানের আকাশসীমায় এখন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ইরানের চুক্তি করা উচিত ছিল। এখন আমি কোনো আলোচনা করতে আগ্রহী নই। আমি এটার পুরোপুরি অবসান চাই। ট্রাম্প আরও জানান, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। যদিও ইরানের পক্ষ থেকে বারবার জানানো হয়েছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। 

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান মোতায়েন করেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও তীব্র হলে সামরিক সহায়তা দেওয়া হতে পারে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এদিকে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত আমেরিকানদের সহায়তা করা হবে। তবে এখনই কোনো সরকারি পর্যায়ে প্রত্যাবাসনের পরিকল্পনা নেই বলে জানানো হয়েছে। 

সূত্রঃ এপি নিউজ