সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বড় পরিবর্তন: সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ পাস

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে এবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যোগ হলো নতুন ধারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
রোববার (১১ মে), রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠক-পরবর্তী সারসংক্ষেপে বলা হয়, সন্ত্রাস দমন এবং জড়িতদের কঠোর শাস্তির উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে প্রণীত হয় সন্ত্রাসবিরোধী আইন। তবে এতদিন পর্যন্ত এ আইনে কেবল ব্যক্তি পর্যায়ে তালিকাভুক্তির সুযোগ ছিল; কোনো সংগঠন বা সত্তার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার নির্দিষ্ট বিধান ছিল না।
সভায় উল্লেখ করা হয়, বর্তমান সময়ের সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার ধরন বিবেচনায় আইনে সংশোধন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এই বাস্তবতার আলোকে সংশোধিত আইনে রাষ্ট্রকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে—যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে যুক্তিসংগত প্রমাণ থাকলে, সরকার তা গেজেটের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং তফসিলভুক্ত করতে পারবে।
সংশোধনীতে আরও বলা হয়েছে, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্ত্রাসবিষয়ক প্রচার কার্যক্রমকেও নিষিদ্ধের আওতায় আনা হয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর জঙ্গিবাদ রোধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংশোধনী দেশের নিরাপত্তা কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে।